তীর্থঙ্করদের ‘শিক্ষক ঈশ্বর’, ‘পথ-স্রষ্টা’, ‘যাত্রাপথ-স্রষ্টা’ ও ‘নদীপারাপারের পথস্রষ্টা’ বলা হয়।[7][3] জৈন বিশ্বতত্ত্ব অনুসারে, প্রত্যেক বিশ্বজনীন কালচক্রের অর্ধেক সময়ে ঠিক ২৪ জন তীর্থঙ্কর ব্রহ্মাণ্ডের এই অংশকে কৃপা করেন। প্রথম তীর্থঙ্কর ছিলেন ঋষভনাথ। কথিত আছে, তিনিই মানবজাতিকে শান্তিপূর্ণভাবে সমাজবদ্ধ অবস্থায় বাস করার পদ্ধতি শিক্ষা দেন এবং সংগঠিত করেন। বর্তমান চক্রার্ধের ২৪শ তথা শেষ তীর্থঙ্কর ছিলেন মহাবীর (খ্রিস্টপূর্ব ৫৯৯-৫২৭ অব্দ)।[6][8] মহাবীর এবং তাঁর পূর্বসূরি ২৩শ তীর্থঙ্কর পার্শ্বনাথ ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন।[9]
জৈনধর্মের চব্বিশ জন তীর্থঙ্করের মধ্যে প্রথম তীর্থঙ্করের নাম কী ?
Ground Truth Answers: ঋষভনাথ
Prediction:
জৈনধর্ম শিক্ষা দেয় যে, সময়ের শুরু বা শেষ বলে কিছু নেই। এটি গোরুর গাড়ির চাকার মতো ঘুরতে থাকে। জৈন মতবিশ্বাস অনুসারে, তীর্থঙ্করেরা তাঁদের শেষ জন্মে রাজপুরুষ হন। জৈন ধর্মগ্রন্থগুলিতে তাঁদের পূর্বপূর্ব জীবনের বিস্তারিত বিবরণ নথিভুক্ত করা থাকে। তাঁদের গোষ্ঠী ও পরিবারগুলির প্রাচীন কিংবদন্তি হিন্দু ইতিহাসে নথিভুক্ত রয়েছে। জৈন আনুশাসনিক ধর্মগ্রন্থগুলিতে বলা হয়েছে যে, প্রথম তীর্থঙ্কর ঋষভনাথ[19] ইক্ষ্বাকু রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।[20] ২১ জন অপর তীর্থঙ্কর বিভিন্ন সময়ে এই রাজবংশেই জন্মগ্রহন করেন। শুধুমাত্র ২০শ তীর্থঙ্কর মুনিসুব্রত ও ২২শ তীর্থঙ্কর নেমিনাথ হরিবংশ নামক রাজবংশে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।[21]
জৈনধর্মের চব্বিশ জন তীর্থঙ্করের মধ্যে প্রথম তীর্থঙ্করের নাম কী ?
Ground Truth Answers: ঋষভনাথঋষভনাথ
Prediction: